
কৃষিক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় এআইপি সম্মাননা পদক পেয়েছেন এগ্রো বেজড্ সোসিও ইকোনমিক্যাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেস-এর চেয়ারম্যান কৃষিবিদ মো: সাখাওয়াত হোসেন সুইট। কৃষির চলমান অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করতে এ সম্মাননা তাকে আরো উৎসাহিত করবে।
রবিবার (৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুস শহীদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে এ সম্মাননা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী।
কৃষিবিদ মো: সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন বললেন. বাংলাদেশের “এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না” “আমি তার এই কথা কে ধারণ করে আমার এলাকা রায়গঞ্জের কয়েক হাজার বিঘা অনাবাদি জলাবদ্ধতাপূর্ণ জমিকে পাইপ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতামুক্ত করে আবাদের আওতায় নিয়ে এসেছি”।
ইউক্রেন থেকে আমাদের ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয় কিন্তুু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে ভোজ্য তেলের সংকট দেখা দিল। যার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার এক বক্তব্যে বলেন “ভোজ্য তেলের উৎপাদন বাড়াতে হবে”। তখন তিনি ধান গবেষণা থেকে স্বল্পমেয়াদী ধান সংগ্রহ করেন এবং কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করেন। এর পাশাপাশি আউশ এবং আমন দুই মৌসুমের ধানের মধ্যে যে সময়টুকু থাকে সেখানে তিনি কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সরিষা বীজ বিতরণ করেন। যার কারণে সরিষার একটা উৎসব তার নিজ এলাকা রায়গঞ্জ- সিরাজগঞ্জ এলাকায় শুরু হয়ে গিয়েছে। সারাদেশে ১১ লক্ষ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হয়েছে যার মধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলাতেই হয়েছে ১ লক্ষ্য মেট্রিক টন বলেন কৃষিবিদ মো: সাখাওয়াত হোসেন সুইট।
সাখাওয়াত হোসেন সুইট বলেন কৃষিবিদরা কৃষিক্ষেত্রে যে অবদান রেখেছেন সেটা অসামান্য। তিনি সকল কৃষিবিদদের আহবান জানিয়ে বলেন আসুন আমরা বাংলাদেশের যে কৃষিবান্ধব প্রধানমন্ত্রী এবং যে সরকার চলছে সেই সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক যে যতটুকু পারি চেষ্টা করি যেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখি এবং সবাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক তিনটা করে গাছ লাগানোর মধ্য দিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য আমরা সবাই চেষ্টা করে যাব।