
মাতৃভূমি থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন এক সময়ের তুখোড় মেধাবী ছাত্র কয়ড়ার লতিফ আহম্মেদ জীবন।
সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মাতৃভূমিকে ভুলে ইট পাথরের বগুড়া শহরের চার দেওয়ালের ভিতরেই জীবনের সাধ ছন্দের খোঁজে দুই যুগ ধরে বন্দি এক সময়ের তুখোড় মেধাবী ছাত্র কয়ড়ার লতিফ আহম্মেদ জীবন।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের দুই যুগ আগেই মেধা মনন প্রজ্ঞা আর দুরদর্শি বিনয়ে আচরণের মাধ্যমে স্মার্ট হয়ে উঠেছিলেন জীবন। আচার-আচরণে ছিল মলিনতা মেধায় ছিল তীক্ষ্ণতা আর ইংরেজি ভান্ডার ছিল দখলে। স্মার্ট ভংগিতে ইংরেজিতে ডিবেট, একে অপরের সাথে টকিং এ যেন ছিল এক আকর্ষণীয় স্বভাবজাত নেশা। যা গ্রামবাসী ও তরুনদের জন্য অহংকার ছিল। মেধার সুমদ্র ট্রেন আটলান্টিক থেকে শুরু করে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে ধাবিত আস্ফালন নিজ গ্রাম থেকে শুরু করে পাশ্ববর্তী গ্রাম জুড়ে মেধাবী লতিফের নাম ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু অল্প বয়য়েই রাজনীতিতে প্রবেশ, রাজনৈতিক হয়রানি ও হৃদয়গঠিত নানা কারনে জ্ঞানের সুমদ্র ট্রেনের গতি হঠাৎই ধীরগতিতে রুপ নেয়। তবে মাঝ সুমদ্রের দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে ইংরেজিতে শেষ করেন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ভালবেশে বিয়ে করেন এক স্কুল শিক্ষিকাকে। চাকুরীজীবন শুরু করেন এক সুবিশাল সুনামধন্য প্রতিষ্টানে।
প্রতিটি মানুষের জীবতো একটা পাঠ্য বইয়ের অধ্যায়ের মত, পৃষ্টা উল্টোতে উল্টোতে এক সময় জীবনের অধ্যায় শেষ হয়ে যায়- এমন ছন্দপতন অধ্যায়ের মধ্য দিয়েও মানুষ অবিস্মরণীয় হয়ে থাকে, বছরে দুএকবার হলেও স্বজন প্রিয়জন বন্ধুবান্ধব এমনকি সমাজের মানুষ গুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করে কিংবা সমাজে বিশেষ অবদান রেখে মাতৃভূমিকে ভালবাসায় জড়িয়ে রাখে কিন্তু এসব থেকে বহু দূরে রয়েছেন লতিফ আহম্মেদ জীবন। শৈশব আবেগের গ্রাম মাতৃভূমি থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হচ্ছেন এক সময়ের তুখোড় মেধাবী ছাত্র কয়ড়ার লতিফ আহম্মেদ জীবন। প্রতিটি ঈদ বা বিশেষ উৎসবে দেখা মেলেনা তার। কি হয়েছে লতিফ আহম্মেদ জীবনের এমন প্রশ্নও করেন গ্রামবাসী। শুধু গ্রাম বা সমাজ থেকেই বিচ্ছিন্ন হননি তিনি বিচ্ছিন্ন হয়েছেন সোসাল মিডিয়া থেকে।জীবনের এমন নৈতিবাচক ব্যবহারে অখুশি গ্রামের তরুন ও সমাজ প্রতিনিধিরা। সমাজ প্রতিনিধি ও তরুনদের আহবান জীবনের ভুলত্রুটি শুধরে বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা পশ্চাতে ফেলে জীবন ফিরে আসুক আমাদের মাঝে। সমাজে অবদান রাখুক মানুষের কল্যানে।